হরিশ্চন্দ্রপুর : খেতে বসে সহকর্মীদের সঙ্গে বচসা।সেই বচসা থেকে মারধর।দুইদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর অস্ত্রপচার হলেও হয়নি শেষ রক্ষা। রাজস্থানের মৃত্যু বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ।
এদিকে বিজেপি শাসিত রাজস্থানের এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। ওই জায়গাগুলোতে বাঙালিদের উপর ঘৃণা পোষণ করা হচ্ছে।বাঙালিদের দেখতে পারছে না। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে অভিযোগ করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী। পাল্টা বিজেপির দাবি বাংলায় কাজ নেই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে কাজ আছে। তাই বাংলার শ্রমিকরা সেখানে যাচ্ছে। যদিও খুনের ঘটনা ঘটলে আইন ঠিক ব্যবস্থা নেবে।বিজেপি শাসিত রাজস্থানে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে সহকর্মীদের বিরুদ্ধে।মৃত শ্রমিকের নাম মতি আলি (৪২)।তার বাড়ি ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের মিসকিনপুর গ্রামে।পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।আজ শনিবার রাতে দেহ ফিরবে গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রাজস্থানে একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন তিনি।
গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে খাওয়ার সময় বিহার ও উড়িষ্যার সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়া হয়।এরপর বিহারের কয়েকজন শ্রমিক ঘরের মধ্যে তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।দুই কিলোমিটার দুরে কাজ করতো তার আরেক ভাই। মতি তার ভাইকে ফোন করে জানাই তার প্রচন্ড পেটে ব্যথা। পেটে ব্যথা নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হয় মতি।অস্ত্রপচার করে চিকিৎসকরা। কিন্তু তারপরেও শেষরক্ষা হয়নি। দুইদিন চিকিৎসা চলার পর শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।মারধরে মতির পেটের নাড়িভুঁড়ি ফেটে গিয়েছিল বলে পরিবারের দাবি।অপারেশনের কয়েক ঘন্টা পর সে মারা যায়।
মতি ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে।শ্রমিকের মৃত্যুতে দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে চরম সমস্যায় পড়লেন স্ত্রী রৌশনা খাতুন। এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। সেখানে গিয়েই তিনি বলেন বিজেপির শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলার মানুষদের সহ্য করতে পারছে না। এই ভাবেই খুন করা হচ্ছে। যদিও তার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি।সাথে রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে তোপ দেগেছে তৃণমূলকে।